বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন

বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

লেখক-পরিচিতি:
নাম : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জন্ম ও পরিচয় : ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুন পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেশায় ছিলেন ডেপুটি কালেক্টর।
শিক্ষাজীবন : ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম স্নাতকদের মধ্যে তিনি একজন।
কর্মজীবন : পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট।

সাহিত্যকর্ম : 
উপন্যাস : দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫), কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯) বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, আনন্দমঠ (১৮৮২), চন্দ্রশেখর, রাধারাণী,
রজনী (১৮৭৭), সীতারাম (১৮৭৩), দেবী চৌধুরাণী (১৮৮৪), রাজসিংহ  প্রভৃতি উল্লেখ্য, উপন্যাস রচনায় বঙ্কিমচন্দ্র  Rajmohons Wife ’  নামে একটি ইংরেজি উপন্যাসও রচনা করেছেন।
প্রবন্ধ : লোকরহস্য, বিজ্ঞানরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, বিবিধ প্রবন্ধ ইত্যাদি।

বিশেষ কৃতিত্ব, পুরস্কার ও সম্মাননা : বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস স্রষ্টা হিসেবে (দুর্গেশনন্দিনী - ১৮৬৫) ‘সাহিত্যসম্রাট' সাহিত্যের রসবোদ্ধাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সম্মাননা।
জীবনাবসান : তিনি ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ই এপ্রিল কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।


১। যশের জন্য লিখিবেন না। 🔒ব্যাখ্যা তাহা হইলে যশও হইবে না, লেখাও ভালো হইবে না। লেখা ভালো হইলে যশ আপনি আসিবে। 🔒ব্যাখ্যা

২। টাকার জন্য লিখিবেন না। 🔒ব্যাখ্যা ইউরোপে এখন অনেক লোক টাকার জন্যই লেখে এবং টাকাও পায়; লেখাও ভালো হয়। কিন্তু আমাদের এখনও সে দিন হয় নাই। এখন অর্থের উদ্দেশ্যে লিখিতে গেলে, লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া পড়ে। 🔒ব্যাখ্যা এখন আমাদিগের দেশের সাধারণ পাঠকের রুচি ও শিক্ষা বিবেচনা করিয়া লোকরঞ্জন 🔒ব্যাখ্যা করিতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হইয়া উঠে 🔒ব্যাখ্যা

৩। যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গল সাধন করিতে পারেন অথবা সৌন্দর্য সৃষ্টি করিতে পারেন, তবে অবশ্য লিখিবেন। 🔒ব্যাখ্যা যাঁহারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন, তাঁহাদিগকে যাত্রাওয়ালা প্রভৃতি নীচ ব্যবসায়ীদিগের সঙ্গে গণ্য করা যাইতে পারে। 🔒ব্যাখ্যা

৪। যাহা অসত্য, ধর্মবিরুদ্ধ; পরনিন্দা বা পরপীড়ন বা স্বার্থসাধন যাহার উদ্দেশ্য, সে সকল প্রবন্ধ কখনও হিতকর হইতে পারে না, সুতরাং তাহা একেবারে পরিহার্য। 🔒ব্যাখ্যা সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য। 🔒ব্যাখ্যা অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী-ধারণ মহাপাপ।  🔒ব্যাখ্যা

৫। যাহা লিখিবেন, তাহা হঠাৎ ছাপাইবেন না। 🔒ব্যাখ্যা  কিছু কাল ফেলিয়া রাখিবেন। 🔒ব্যাখ্যা কিছু কাল পরে উহা সংশোধন করিবেন। তাহা হইলে দেখিবেন, প্রবন্ধে অনেক দোষ আছে। কাব্য নাটক উপন্যাস দুই এক বৎসর ফেলিয়া রাখিয়া তারপর সংশোধন করিলে বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করে। যাঁহারা সাময়িক সাহিত্যের কার্যে ব্রতী, তাঁহাদের পক্ষে এই নিয়ম রক্ষাটি ঘটিয়া উঠে না। 🔒ব্যাখ্যা এজন্য সাময়িক সাহিত্য, লেখকের পক্ষে অবনতিকর। 🔒ব্যাখ্যা

৬। যে বিষয়ে যাহার অধিকার নাই, সে বিষয়ে তাহার হস্তক্ষেপ অকর্তব্য। 🔒ব্যাখ্যা এটি সোজা কথা কিন্তু সাময়িক সাহিত্যতে এ নিয়মটি রক্ষিত হয় না। 🔒ব্যাখ্যা

৭ । বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না। 🔒ব্যাখ্যা  বিদ্যা থাকিলে, তাহা আপনিই প্রকাশ পায়, 🔒ব্যাখ্যা চেষ্টা করিতে হয় না। বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা পাঠকের অতিশয় বিরক্তিকর এবং রচনার পরিপাট্যের বিশেষ হানিজনক। 🔒ব্যাখ্যা এখনকার প্রবন্ধে ইংরাজি, সংস্কৃত, ফরাসি, জার্মান কোটেশন বড় বেশি দেখিতে পাই। 🔒ব্যাখ্যা যে ভাষা আপনি জানেন না, পরের গ্রন্থের সাহায্যে সে ভাষা হইতে কদাচ উদ্ধৃত করিবেন না ।

৮। অলংকার-প্রয়োগ বা রসিকতার জন্য চেষ্টিত হইবেন না। 🔒ব্যাখ্যা স্থানে স্থানে অলংকার বা ব্যঙ্গের প্রয়োজন হয় বটে; লেখকের ভাণ্ডারে এ সামগ্রী থাকিলে, প্রয়োজন মতে আপনিই আসিয়া পৌঁছিবে- ভাণ্ডারে না থাকিলে মাথা কুটিলেও আসিবে না। 🔒ব্যাখ্যা অসময়ে বা শূন্য ভাণ্ডারে অলংকার প্রয়োগের বা রসিকতার চেষ্টার মতো কদর্য আর কিছুই নাই ৷ 🔒ব্যাখ্যা

৯। যে স্থানে অলংকার বা ব্যঙ্গ বড় সুন্দর বলিয়া বোধ হইবে, সেই স্থানটি কাটিয়া দিবে, এটি প্রাচীন বিধি। 🔒ব্যাখ্যা আমি সে কথা বলি না। কিন্তু আমার পরামর্শ এই যে, সে স্থানটি বন্ধুবর্গকে পুনঃ পুনঃ পড়িয়া শুনাইবে। 🔒ব্যাখ্যা যদি ভালো না হইয়া থাকে, তবে দুই চারি বার পড়িলে লেখকের নিজেরই আর উহা ভালো লাগিবে না-বন্ধুবর্গের নিকট পড়িতে লজ্জা করিবে। তখন উহা কাটিয়া দিবে।

১০। সকল অলংকারের শ্রেষ্ঠ অলংকার সরলতা। 🔒ব্যাখ্যা যিনি সোজা কথায় আপনার মনের ভাব সহজে পাঠককে বুঝাইতে পারেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ লেখক। 🔒ব্যাখ্যা কেন না লেখার উদ্দেশ্য পাঠককে বুঝানো ।

১১। কাহারও অনুকরণ করিও না । 🔒ব্যাখ্যা অনুকরণে দোষগুলি অনুকৃত হয়, গুণগুলি হয় না। 🔒ব্যাখ্যা অমুক ইংরাজি বা সংস্কৃত বা বাঙ্গালা লেখক এইরূপ লিখিয়াছেন, আমিও এরূপ লিখিব, এ কথা কদাপি মনে স্থান দিও না । 🔒ব্যাখ্যা

১২। যে কথার প্রমাণ দিতে পারিবে না, তাহা লিখিও না। 🔒ব্যাখ্যা প্রমাণগুলি সংযুক্ত করা সকল সময়ে প্রয়োজন হয় না, কিন্তু হাতে থাকা চাই ।

১৩। বাঙ্গালা সাহিত্য, বাঙ্গালার ভরসা। এই নিয়মগুলি বাঙ্গালার লেখকদিগের দ্বারা রক্ষিত হইলে, বাঙ্গালা সাহিত্যের উন্নতি বেগে হইতে থাকিবে। 🔒ব্যাখ্যা


 পাঠ-পরিচিতি 

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উনিশ শতকীয় বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে পরিচিত। ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” রচনাটি প্রথম প্রকাশিত হয় 'প্রচার' পত্রিকায়, ১৮৮৫ সালে; পরে এটি তাঁর ‘বিবিধ প্রবন্ধ’ নামক গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়। সাধু রীতিতে লেখা এই প্রবন্ধটি আকারে ছোট হলেও চিন্তার মৌলিকত্বে অসাধারণ। বক্তব্যের তাৎপর্য বিচার করলে প্রবন্ধটির রয়েছে সর্বকালীন বৈশ্বিক আবেদন। নতুন লেখকদের প্রতি তিনি যে পরামর্শ এখানে উপস্থাপন করেছেন তার প্রতিটি বক্তব্যই পালনযোগ্য। খ্যাতি বা অর্থের উদ্দেশ্যে লেখা নয়; লিখতে হবে মানুষের কল্যাণ সাধন কিংবা সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে। বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, অসত্য, নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কিংবা পরনিন্দার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা স্বার্থতাড়িত লেখা পরিহার করা বাঞ্ছনীয়। তিনি বলতে চান, নতুন লেখকরা কিছু লিখে তাৎক্ষণিকভাবে না ছাপিয়ে কিছুদিন অপেক্ষা করে পুনরায় পাঠ করলে লেখাটি সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। যার যে বিষয়ে অধিকার নেই সে বিষয়ে লেখার চেষ্টা করা যেমন অনুচিত তেমনি লেখায় বিদ্যা জাহির করার প্রবণতাকেও তিনি নিন্দনীয় বলে মনে করেছেন। অনুকরণবৃত্তিকেও দূষণীয় বলেছেন। অনাবশ্যকভাবে লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি বা পরিহাস করার চেষ্টাও তাঁর কাছে কাম্য নয়। সারল্যকেই তিনি সকল অলংকারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ অলংকার বলে মনে করেছেন। সর্বোপরি বস্তুনিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এভাবে এই ছোট লেখাটিতে তিনি লেখকের আদর্শ কী হওয়া উচিত তা অত্যাবশ্যকীয় শব্দ প্রয়োগে উপস্থাপন করেছেন। নবীন লেখকরা বঙ্কিমচন্দ্রের পরামর্শ মান্য করলে লেখক ও পাঠক সমাজ নিশ্চিতভাবে উপকৃত হবেন; আমাদের মননশীল ও সৃজনশীল জগৎ সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হবে ।
                       

উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৫৮ সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। 

উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পেশাগত জীবনে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। 

উত্তর : ‘লোকরহস্য’ ও ‘কৃষ্ণচরিত্র’ বঙ্কিমচন্দ্রের গদ্যগ্রন্থ। 

উত্তর : বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত উপন্যাস রচনার কৃতিত্ব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। 

উত্তর : যশের জন্য লিখলে লেখার মান ও যশ কোনোটাই হবে না। তাই প্রাবন্ধিক যশের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন।
‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক যশের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন। তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন ভালো লেখার প্রতি কারণ প্রাবন্ধিক জানেন যশ বা খ্যাতির দিকে গুরুত্ব দিলে লেখার মান ভালো করা সম্ভব নয়, লেখার মান ভালো হলে যশ আপনা-আপনিই আসবে। তাই প্রাবন্ধিক যশের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন।

উত্তর : যশের প্রতি মনোযোগী না হয়ে লেখার মানের দিকে গুরুত্ব দিলে যশ এমনি আসবে।
প্রাবন্ধিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধে লেখার মানের প্রতি অর্থাৎ কোনো রচনার উৎকর্ষ সাধনের দিকে মনোযোগী হতে বলেছেন। প্রাবন্ধিক মনে করেন লেখার মান ভালো হলে খ্যাতির পেছনে দৌড়াতে হয় না। খ্যাতি নিজেই এসে ধরা দেয়। কিন্তু কেউ যদি লেখার মান ঠিক না রেখে কেবল খ্যাতির পেছনে দৌড়ায় তবে লেখাও ভালো হয় না, খ্যাতিও আসে না। এ বিষয়টি বোঝাতেই প্রাবন্ধিক আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

উত্তর : টাকার জন্য লিখতে গেলে লোক-রঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হয় বলেই প্রাবন্ধিক টাকার জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন। 
প্রাবন্ধিক মনে করেন অর্থের জন্য লেখার সময় এখনও আমাদের দেশে আসেনি। যদিও ইউরোপের অনেক লেখক টাকার জন্য লেখেন এবং টাকাও পান। কিন্তু আমরা এখন অর্থের জন্য লিখতে গেলে লোকরঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হবে। কারণ আমাদের দেশের সাধারণ পাঠকের রুচি এমন পর্যায়ে রয়েছে সেখানে লোকরঞ্জন করতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হতে পারে। তাই প্রাবন্ধিক অর্থের জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন।

উত্তর : পাঠকের মনোরঞ্জন অপেক্ষা লেখার মান গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি বোঝাতে প্রাবন্ধিক আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
প্রাবন্ধিক ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধে নব্য লেখকদের টাকার জন্য লিখতে নিষেধ করেছেন। তিনি মনে করেন, এখনও আমাদের টাকার জন্য লেখার সময় আসেনি। পাঠকের মনোরঞ্জন করতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দেশের পাঠকের রুচি ও শিক্ষা বিবেচনা করে এমন কথা বলেছেন প্রাবন্ধিক।

উত্তর : মানবজাতির কল্যাণ ব্যতিরেকে ব্যক্তিবিশেষের রুচির প্রাধান্য দিয়ে লেখাকে প্রাবন্ধিক লোকরঞ্জন প্রবৃত্তি প্রবল বলেছেন। 
সাহিত্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ, মানুষের মঙ্গলসাধন কিংবা সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায় ঘটানো। কিন্তু লোকরঞ্জন করার মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। এখানে পাঠকের বিশেষ রুচির প্রাধান্য দেওয়ার ফলে সাহিত্যের সাহিত্যিক মূল্য হারায়। প্রাবন্ধিক এ ধরনের বিশেষ মতের ও নিজের অভিলাষকে প্রাধান্য দিয়ে পাঠককে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে লেখাকে লোকরঞ্জন প্রবৃত্তি প্রবল লেখা বুঝিয়েছেন। 

Score Board

_









_

_









_

_









_

_









_

_









_
Score Board