উত্তর : প্রশ্নোক্ত বাক্যটিতে মাদাম লোইসেলের বিলাসবহুল জীবনাকাক্সক্ষাকে তুলে ধরেছেন।
নিজের রূপসৌন্দর্যে যারা অন্ধ তারা পৃথিবীতে শুধু নিজেকেই চিনে। নিজের রূপের অহমিকায় তারা ভুলে যায় তাদের শিকড়ের কথা। মাতিলদা এক অপ্সরী। কিন্তু অপরাধ তার জন্ম এক কেরানির ঘরে। এই পরিচয় তার জীবনকে যেন একরাশ অভিশপ্তের কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। নিজ রূপের অহমিকায় নিমজ্জিত বিবেক তার শিরায় শিরায় ঘুরে। তার সেই বিবেক তাকে ক্ষণে ক্ষণে ধিক্কার দেয়। এ রূপ যেন অমাবস্যার অন্ধকারে হঠাৎ করে জেগে উঠা মায়ামায়ী জ্যোৎস্না, যাকে পৃথিবীর বুকে মানায় না। দরিদ্র পরিবারের ছোট্ট কুটির তার চিরায়ত সৌন্দর্যকে কেন জানি গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক। নিছক নিয়তির ভুলেই যেন তার জন্ম হয়েছে দরিদ্র কেরানির পরিবারে।
উত্তর : মাদাম লোইসেলের জন্ম কেরানির পরিবারে। তাই বিশিষ্ট ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হওয়ার উপায় ছিল না।
‘নেকলেস’ গল্পটিতে মাদাম লোইসেল গরিব ঘরের এক সুন্দরী মেয়ে। সে উচ্চাভিলাষী, স্বপ্নময় ও সুখী জীবন প্রত্যাশায় দিন-রাত নিজেকে ব্যস্ত রাখে আর নিজের দারিদ্র্যকে চরম ঘৃণা করে। সে কল্পনার চোখে এমন একজন পুরুষ কামনা করে, যে তার জীবনের সমস্ত আকাক্সক্ষা পূরণ করবে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের গণ্ডি থেকে সে কখনই বের হতে পারেনি, সন্ধান পায়নি কোনো বিখ্যাত পুরুষের। মূলত দরিদ্র কেরানির পরিবারের জন্ম নেওয়ার কারণেই মাদাম লোইসেলের বিশিষ্ট ব্যক্তির সাথে বিয়ে হওয়ার উপায় ছিল না।
উত্তর : মাতিলদার দরিদ্রতাই কেরানির সাথে বিয়ে মেনে নিতে বাধ্য করেছিল।
মাতিলদা ছিল এক চমৎকার সুন্দরী তরুণী। নিয়তির ভুলেই যেন তার এক কেরানির পরিবারে জন্ম হয়েছিল মাতিলদার। তার ছিল না কোনো আনন্দ, কোনো আশা। নিজেকে উচ্চবিত্ত মহলে পরিচিত করার কিংবা প্রশংসা পাওয়ার কোনো উপায় ছিল না তার। আর এজন্যই ধনী দেখে প্রেমলাভ করার কিংবা বিয়ে করবার মনোভাব অনেক আগ থেকেই মরে গিয়েছিল। তাই শিক্ষা পরিষদ অফিসের সামান্য এক কেরানির সাথে বিয়ে সে স্বীকার করে নিয়েছিল।
উত্তর : আলোচ্য অংশে মাদাম লোইসেলের দারিদ্র্যের কারণেই যে তিনি অসুখী- এ কথাটিই ব্যক্ত হয়েছে।
মাদাম লোইসেল ছিলেন অতি সুন্দরী এক তরুণী। তিনি ভাবতেন, নিয়তির ভুলেই কেরানির পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছে। তাঁর শ্রেণি অবস্থান নিম্নবিত্ত হলেও শ্রেণি চেতনা ছিল উচ্চবিত্তের। তাঁর রূপ, সৌন্দর্য ও মাধুর্য সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন। এজন্যেই নিম্নবিত্তপরিবারের চমৎকার সুন্দরী মেয়ে হিসেবে তিনি অসুখী ছিলেন।
উত্তর : ‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেল অসুখী ছিল, কারণ তার জন্ম হয়েছিল কেরানি পরিবারে।
‘নেকলেস’ গল্পে মাদাম লোইসেল ছিল সুন্দরী তরুণী। সুন্দরী তরুণী হওয়ার পরও তার ছিল না কোনো আশা। পরিচিত হবার, প্রশংসা পাওয়ার, প্রেমলাভ করার কোনো উপায় তার ছিল না। নিজেকে সে সাজাতে পারে না আর এজন্য সে সাধারণভাবে থাকে। তার শ্রেণির মধ্যে ছিল অন্যতম। আর এজন্য মাদাম লোইসেল অসুখী ছিল।