পদ্মা

পদ্মা

ফর্‌রুখ আহমদ


অনেক ঘূর্ণিতে ঘুরে 🔒ব্যাখ্যা , পেয়ে ঢের সমুদ্রের স্বাদ🔒ব্যাখ্যা

জীবনের পথে পথে অভিজ্ঞতা কুড়ায়ে প্রচুর 🔒ব্যাখ্যা

কেঁপেছে তােমাকে দেখে জলদস্যু- দুরন্ত হার্মাদ 🔒ব্যাখ্যা


তােমার তরঙ্গভঙ্গে বর্ণ তার হয়েছে পাণ্ডুর 🔒ব্যাখ্যা

সংগ্রামী মানুষ তবু দুই তীরে চালায়ে লাঙল 🔒ব্যাখ্যা

কঠিন শ্রমের ফল- 🔒ব্যাখ্যা শস্য দানা পেয়েছে প্রচুর ; 🔒ব্যাখ্যা


উর্বর তােমার চরে ফলায়েছে পর্যাপ্ত ফসল ! 🔒ব্যাখ্যা

জীবন – মৃত্যুর দ্বন্দ্বে নিঃসংশয় , নির্ভীক জওয়ান 🔒ব্যাখ্যা

সবুজের সমারােহে 🔒ব্যাখ্যা জীবনের পেয়েছে সম্বল। 🔒ব্যাখ্যা


বর্ষায় তােমার স্রোতে গেছে ভেসে সাজানাে বাগান, 🔒ব্যাখ্যা

অসংখ্য জীবন , আর জীবনের অজস্র সম্ভার , 🔒ব্যাখ্যা

হে নদী ! জেগেছে তবু পরিপূর্ণ আহ্বান ,🔒ব্যাখ্যা

মৃত জড়তার বুকে 🔒ব্যাখ্যা খুলেছে মুক্তির স্বর্ণদ্বার 🔒ব্যাখ্যা

তােমার সুতীব্র গতি ; তােমার প্রদীপ্ত স্রোতধারা ॥    

উত্তর : নির্ভীক জওয়ান জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্বে নিঃসংশয়। 

উত্তর : ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যটি ১৯৪৪ সালে প্রকাশিত হয়। 

উত্তর : জীবিকা অর্জনের উপায়কে সম্বল বলে। 

উত্তর : ‘নৌফেল ও হাতেম’ ফররুখ আহমদের কাব্যনাট্য রচনা।

উত্তর : সংগ্রামী মানুষ কঠিন শ্রমের ফলে প্রচুর শস্যদানা পেয়েছে। 


উত্তর : “অনেক ঘূর্ণিতে ঘুরে” বলতে উত্তাল নদী বা সমুদ্রপথে জলদস্যুদের ভ্রমণের বিস্তর অভিজ্ঞতাকে বোঝানো হয়েছে। 
জলদস্যুরা নদী বা সমুদ্রপথে ডাকাতি করে থাকে। এ কারণে অগাধ জলরাশিই তাদের বিচরণের প্রধান স্থান। নদী ও সমুদ্রে তাদের উত্তাল, ঝঞ্চামুখর স্রোতের মুখোমুখি হতে হয়। এ বিষয়টিকে তুলে ধরতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।


উত্তর : “পেয়ে ঢের সমুদ্রের স্বাদ” বলতে এখানে সমুদ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতার দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। 
জলদস্যুরা বহু নদী ও সমুদ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। তারা নদী ও সমুদ্রপথে প্রতিনিয়ত ওত পেতে থাকে দস্যুবৃত্তির জন্য। নদী আর সমুদ্রই তাদের বিচরণের প্রধান ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পেশাগত প্রয়োজনে বহু নদ-নদী ও সমুদ্র ভ্রমণ তাদের জন্য অনিবার্য। আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে এ দিকটিই উঠে এসেছে। 


উত্তর : “জীবনের পথে পথে অভিজ্ঞতা কুড়ায়ে প্রচুর” বলতে এখানে জলদস্যুদের বহু নদী ও সমুদ্র পরিভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে।
জলদস্যুরা পেশাগত কারণে নদী আর সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়।  দস্যুবৃত্তির জন্য সমুদ্রের ঢেউ কিংবা নদীর স্রোতে তাদের অবগাহন অনিবার্য। কারণ জলপথেই তারা ওত পেতে থাকে শিকারের আশায়। ফলে নদী কিংবা সমুদ্রে ভাসার অভিজ্ঞতা তাদের অগাধ। কিন্তু পদ্মার প্রমত্ত রূপ অভিজ্ঞ জলদস্যুদেরও সন্ত্রস্ত করে। আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে এ দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। 


উত্তর : ‘কেঁপেছে তোমাকে দেখে জলদস্যু-দুরন্ত হার্মাদ’ পঙ্ক্তিটির মধ্যে দিয়ে পদ্মার প্রমত্ত রূপ দেখে অভিজ্ঞ জলদস্যুদের ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার দিকটি ফুটে উঠেছে। 
জলদুস্যরা বিভিন্ন নদী ও সমুদ্রে ঘুরে বেড়ায়। বহু ঢেউ, বহু ঘূর্ণি দেখে তারা অভ্যস্ত। যেহেতু জলে ভেসে ডাকাতি কারাই তাদের পেশা, তাই এক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। কিন্তু পদ্মার ভয়ংকর মূর্তি দেখে এ অভিজ্ঞ জলদস্যুরাও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। উপর্যুক্ত পঙ্ক্তিটিতে এ দিকটিই প্রতিফলিত হয়েছে। 


উত্তর : জলদস্যুরা বহু নদনদী ও সমুদ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। জল থেকে জলান্তে তাদের প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াতে হয়, কারণ জলদস্যুতাই তাদের নেশা ও পেশা। কিন্তু এ অভিজ্ঞ জলদস্যুরাও পদ্মার ভয়াল ঘূর্ণি দেখে কেঁপে ওঠে। কারণ পদ্মার গতিবেগ ও তীব্র ঘূর্ণি অন্য নদীর চেয়ে একেবারেই আলাদা। এতটাই ভয়ংকার তার ঘূর্ণি যে, ভয় ডরহীন জলদস্যুদের বুকেও সে কম্পন তৈরি করতে সক্ষম। 


Score Board

১) পদ্মাকে দেখে কেঁপে উঠেছে- 

২) 'জীবনের পথে পথে অভিজ্ঞতা কুড়ায়ে প্রচুর'- কাদের কথা বলা হয়েছে? 

৩) ফর্ রুখ   আহমদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? 

৪) ফর্ রুখ   আহমদ কোথায় চাকরি করতেন? 

৫) ঢাকা বেতারে ফর্ রুখ   আহমদ কী হিসেবে কাজ করতেন? 

Score Board