কপোতাক্ষ নদ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
কবি পরিচিতি:
জন্ম : ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি।
মৃত্যু : ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুন।
স্থান : যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে।
পিতার নাম : রাজনারায়ণ দত্ত
রচনাবলী : মহাকাব্য -মেঘনাদ বধ (১৮৬১)
গদ্য : হেকটর বধ (অসম্পূ)
কাব্য : তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, ব্রজাঙ্গনা ও চতুর্দশপদী কবিতাবলী
পত্রকাব্য : বীরাঙ্গনা
ইংরেজি কাব্য : Captive Lady, Visions of the Past.
নাটক : কৃষ্ণকুমারী, পদ্মাবতী, শর্মিষ্ঠা, মায়াকানন।
প্রহসন : একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ।
সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে !🔒ব্যাখ্যা
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে; 🔒ব্যাখ্যা
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া-মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে !🔒ব্যাখ্যা
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে ।🔒ব্যাখ্যা
আর কি হে হবে দেখা? - যত দিন যাবে,
প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে 🔒ব্যাখ্যা
বারি-রূপ কর🔒ব্যাখ্যা তুমি; এ মিনতি,🔒ব্যাখ্যা গাবে
বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে
নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে
লইছে যে নাম তব বঙ্গের সংগীতে।🔒ব্যাখ্যা
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
চৌদ্দ-চরণ- সমন্বিত ভাবসংহত সুনির্দিষ্ট। চতুর্দশপদী কবিতার প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক (Octave) এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষষ্টক (Sestet) বলে। অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষটক ভাবের পরিণতি থাকে । চতুর্দশপদী কবিতায় কয়েক প্রকার অন্ত্যমিল প্রচলিত আছে। যেমন, প্রথম আট চরণ : কখখক কখখক। শেষ ছয় চরণ : ঘঙচ ঘঙচ । অথবা প্রথম আট চরণ : কখখগ কখখগ, শেষ ছয় চরণ : ঘঙঘঙ চচ। ‘কপোতাক্ষ নদ' একটি চতুর্দশপদী কবিতা। এখানে মিলবিন্যাস : কখকখ কখখক গখগ ঘগঘ ৷